Category Archives: Cinema

প্রচ্ছদে শহিদ -মীরা জুটি, ইন্টারনেটে ভাইরাল

শহিদ কাপুর ও মীরা রাজপুত। দাম্পত্য জীবনে মধুর এলিমেন্ট এঁদের প্রচুর।

প্রেমের অনেক রঙিন ফ্রেম এঁরা উপহার দিয়েছেন।

হাঁটুর বয়সী মীরাকে ২০১৫ সালে বিয়ে করেন শহিদ কাপুর। কারিনা-প্রিয়াঙ্কা বিভিন্ন ঘাটের পানি খেয়ে শহিদ শেষ পর্যন্ত সম্বন্ধ করে বিয়েতে সম্মত হন। তাও আবার ১৩ বছরের ছোট মেয়েকে বিয়ে করেন শহিদ। উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে হলেও বলিউডি ঘরানার সঙ্গে খুব বেশি যোগ ছিল না তাঁর। কিন্তু ধীরে ধীরে দু’ বছর পেরিয়ে তিনিও আজ গ্ল্যামার জগতের বাসিন্দা।

সুন্দরী মীরা তাই এখন জনপ্রিয় ম্যাগজিনের কাভার পেজে আসার যোগ্যতাও অর্জন করে নিয়েছেন। প্রথম কভার পেজ অ্যাপিয়ারেন্সে তাঁর সঙ্গী তাঁর হাবি শহিদ কাপুর। প্রথম সব কিছুর আনন্দই আলাদা।

আর তাই আবেগে ভেসে শহিদের বউ নিজেদের ম্যাগাজিনের কাভার পেজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে দিয়েছেন।

রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে মালেক আফসারীর অন্তর জ্বালা’

বিজয় দিবস উপলক্ষে আগামী ১৫ ডিসেম্বর দেশব্যাপী মুক্তি পেতে যাচ্ছে মালেক আফসারীর অন্তর জ্বালা’। পরীমনি ও জায়েদ খান অভিনীত প্রাথমিকভাবে সারা দেশের ১৭৫ প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হবে ছবিটি। পরে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। ‘অন্তর জ্বালা’র পরিচালক মালেক আফসারী নিজেই এসব তথ্য জানান।

সেই হিসেবে দেশের সবচেয়ে বেশি প্রেক্ষাগৃহে ছবি মুক্তি দিয়ে নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন পরিচালক মালেক আফসারী। এর আগে যে রেকর্ডটি ছিল আরেক নামি চলচ্চিত্র নির্মাতা বদিউল আলম খোকনের ঝুলিতে। তাঁর ‘রাজাবাবু’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৬৪টি হলে। সেটি টপকে নতুন রেকর্ডের পথে পরীমনি-জায়েদ জুটির ‘অন্তর জ্বালা’

ছবি নিয়ে মালেক আফসারি বলেন, ‘চলচ্চিত্রাঙ্গনে নানা অস্থিরতার বিরাজ করছিল। সেজন্য এতদিন মুক্তি দেইনি। এখন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ায় মুক্তি দিতে যাচ্ছি। এবার আর তারিখ পরিবর্তন হবে না।’

নায়ক মান্নার পরিবেশনা সংস্থা কৃতাঞ্জলি চলচ্চিত্র থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘অন্তর জ্বালা’। ছবিতে পরীমনি এবং জায়েদ খান ছাড়াও অভিনয় করছেন নবাগত জয় চৌধুরী, মৌমিতা মৌ, প্রয়াত খল অভিনেতা মিজু আহমেদ, সাঙ্কু পাঞ্জা, রেহেনা জলী, বড়দা মিঠু ও চিকন আলী।

জানুয়ারিতে কপিল শর্মার বিয়ে

আগামী বছরের জানুয়ারিতে প্রেমিকা গিনি চাতরাথের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছেন কপিল শর্মা। কপিলের একটি ঘনিষ্ঠসূত্র সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘দুই পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক চাপ দেওয়া হচ্ছে।

গিনির পরিবার চাইছেন এ জুটির সম্পর্কটির আনুষ্ঠানিক পরিণতি হোক। কপিলের মা বিয়ে করার জন্য তাকে জোর করছেন, কারণ গিনিকে তিনি অনেক পছন্দ করেন এবং তার সঙ্গে সম্পর্কটাও বেশ ভালো।

গিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, কপিল নিজেকে শুধরে নেওয়ার পরই তাকে বিয়ে করবেন। এখন মদ, নেশা থেকে দূরে রয়েছেন কপিল। তার মনের অবস্থাও ভালো। তাই এখন কপিল বিয়ে করার জন্য মনস্থির করেছেন।

২০১৪ সালে ভারতীয় একটি হিন্দি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কপিলের ভাই অশোক শর্মা জানান, কপিল জলন্ধর-নিবাসী ভবনীত চাতার্থকে বিয়ে করতে চায়। দু’জনে এক সঙ্গে কমেডি শো ‘হাস বলিয়ে’-তে অংশগ্রহণ করেছিল। তাদের বলিউড ফিল্ম ‘ব্যাংক চোর’ রিলিজ করার পরে বিয়ে করবে বলে স্থির করেছে।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই বিয়ে আর হল না কেন? ২০১৫ সালে যখন যশরাজ ফিল্মসের ছবি ‘ব্যাংক চোর’-এ কাজ করার সুযোগ কপিলের হাতছাড়া হল, তখনও শোনা যাচ্ছিল কপিল আর ভবনীতের বিয়ের খবর একেবারে পাক্কা। তারপর ‘কিস কিস কো পেয়ার করু’ ছবির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কপিল। সেই সময় থেকেই আস্তে আস্তে কপিল-ভবনীতের প্রেম নিয়ে চর্চা কমে আসতে শুরু করে। একটা সময়ে ভবনীত কপিলের জীবন থেকে একেবারেই উধাও হয়ে যান।

‘ফিরাঙ্গি’ ছবির প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত কপিল শর্মা। এটি তার অভিনীত দ্বিতীয় ছবি। আগামী ২৪ নভেম্বর মুক্তি পাবে ছবিটি।

মহেশ-আল্লু অর্জুনের দ্বন্দ্ব!

দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক মহেশ বাবু ও আল্লু অর্জুন দ্বন্দ্বে জড়াতে যাচ্ছেন। তাদের পরবর্তী সিনেমা মুক্তি নিয়ে এই দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে বলে ভারতীয় পত্রিকা ডেকান ক্রনিকলে খবর প্রকাশ।
খবরে বলা হয়, মহেশ অভিনীত ‘ভারত আনে নেনু’ সিনেমাটি ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল মুক্তি পাবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে আল্লু অর্জুন অভিনীত ‘না পেরু সুরিয়া’ সিনেমাটি একইদিন মুক্তি দেয়া হবে বলে জানা গেছে। আর এ নিয়ে বেশ সরগরম তেলেগু ইন্ডাস্ট্রি। শুরু হয়েছে মহেশ-আল্লুর দ্বন্দ্ব নিয়ে কানাঘুষা।
একই দিন এই দুই তারকার সিনেমা মুক্তির বলে বক্স অফিসেও যে বড় ধরনের যুদ্ধ শুরু হবে সেটাও অনুমেয়। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধে কে জয়ী হন।

নেটদুনিয়ায় জনপ্রিয় হওয়ায় মারাত্মক বিপদেও পড়েছিলেন সানি লিওন?

যেকোনো ছবি প্রমোশনের ক্ষেত্রে সোশাল মিডিয়া এখন গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। প্রায় সমস্ত অভিনেতা, অভিনেত্রীরাই এদিকে আলাদা করে গুরুত্ব দিয়েছেন।

তবে তার মধ্যে মুষ্টিমেয় কয়েকজনই নেটদুনিয়ার নজর নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিতে পারেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম সানি লিওন। তবে নেটদুনিয়ায় জনপ্রিয় হওয়ার কারণে মারাত্মক বিপদেও পড়েছিলেন সানি।

এমনকি ছবি পোস্ট করে হেনস্তার শিকার হওয়া তো নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে অভিনেত্রীদের কাছে। প্রাক্তন পর্নস্টার হওয়ার দৌলতে সানিকেও দেদার কটাক্ষ সহ্য করতে হয়েছে। নেটদুনিয়া ছাড়া বাস্তবেও ব্যঙ্গের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। তবে তার থেকেও মারাত্মক অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁর। নেটদুনিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁকে রীতিমতো হুমকি দিত।  সানির বেশ কয়েকজন ভক্তকে নিয়ে এই কাণ্ড চালাতেন ওই ব্যক্তি।

প্রথমদিকে গুরুত্ব দেননি অভিনেত্রী। কিন্তু একদিন বিপদ ঘনায়। ওই ব্যক্তি পৌঁছে যান তাঁর বাড়ির সামনে। ঘরের ভিতর থেকেই ওই ব্যক্তির হই-হল্লাও শুনতে পান সানি। সে সময় তাঁর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। ড্যানিয়েল দেশের বাইরে ছিলেন বলে একাই থাকতেন সানি। এ রকম সময় শুরু হয় উপদ্রব। সেই সময়টা রীতিমতো ভয়ে ভয়ে থাকতেন সানি।

জানা গেছে, একদিন তো চেঁচামেচি শুনে এতটাই ভীত হয়ে পড়েছিলেন যে হাতে ছুরি নিয়ে দরজার দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন। এর পরই নিজের বাড়ির সামনে সিসিটিভি ইনস্টলের সিদ্ধান্ত নেন সানি। এখনও সে ঘটনার কথা মনে পড়লে শিরদাঁড়া দিয়ে ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে যায় সানির।

পরে এ ব্যাপারে সানি লিওন জানিয়েছেন, সাইবার দুনিয়ার এটি একটি সমস্যা। পেশার খাতিরে অনেককেই এ দুনিয়ায় সক্রিয় থাকতে হয়। কিন্তু তার জন্য কম ভোগান্তি পোহাতে হয় না।

তবে সময় এমন যে নেটদুনিয়া থেকে দূরে থাকাও সম্ভব নয়। আপাতত ‘তেরি ইনতেজার’ ছবিতে তাঁকে দেখার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে ভক্তরা।

প্রভাসের পারিশ্রমিক শুনে ঘুম হারাম করনের

‘বাহুবলী’ এবং ‘বাহুবলী দ্য কনক্লুশন’ সিনেমায় দারুণ অভিনয় দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা প্রভাস।
তার জনপ্রিয়তা একেবারে তুঙ্গে। ‘বাহুবলী’ সিক্যুয়ালের পর বলিউডের তাবড় পরিচালকদের অনেকেই এখন প্রভাসকে নিয়েই কাজ করতে চাইছেন।
তার মধ্যে অন্যতম হলেন করন জহর। তবে প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রভাসকে নিয়ে কাজ করতে পারছেন না করন জোহর!
সম্প্রতি বলিউডে এমনই গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রভাস যে পরিমাণ পারিশ্রমিক দাবি করছেন তা শুনেই ঘুম হারাম হয়ে গেছে করনের। করন জহরের হাত ধরে বলিউডে ডেবিউ করার জন্য প্রভাস নাকি ২০ কোটি পারিশ্রমিক চাইছেন।
কিন্তু, প্রভাসকে ওই টাকা পারিশ্রমিক দিতে নারাজ করন। আর সেই কারণেই নাকি করনের হাত ধরে প্রভাসের বলিউড ডেবিউ পিছিয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ‘বাহুবলী’ সিরিজের সঙ্গে চুক্তি থাকায় দীর্ঘদিন অন্য কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি প্রভাসকে। তবে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন সিনেমার কাজে হাত দিয়েছেন তিনি।
প্রভাস বর্তমানে ‘সাহো’ সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত। সিনেমায় একেবারে ভিন্নলুকে হাজির হবেন প্রভাস। সিনেমায় তার বিপরীতে দেখা যাবে আশিকিখ্যাত নায়িকা শ্রদ্ধা কাপুরকে।

সালমান-শাহরুখের সাথে প্রথম পরিচয়ের কাহিনী বললেন আমির

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সালমান ও শাহরুখের সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের মজার অভিজ্ঞতার কথা বললেন বলিউড অভিনেতা আমির খান। সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, অপর দুই খান- শাহরুখ ও সালমানর সঙ্গে তার প্রথম পরিচয়ের গল্প।

মিড ডে’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমির বলেন, আমি যখন সালমান খানকে প্রথম দেখি তখন আমরা কেউই তারকা হয়ে উঠিনি। পরিচালক আদিত্য ভট্টাচার্যের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায় অভিনয়ের সুবাদে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। পাশেই একটি লনে সাইকেল চালাচ্ছিলেন সালমান। তার সঙ্গে সেখানেই আমার প্রথম পরিচয়। আলাপের সূত্রেই জানতে পারি ছোটবেলায় সালমান আর আমি একই স্কুলে, একই ক্লাসে এক বছর পড়েছিলাম। সম্ভবত সেটা ছিলো গ্রেড-টু। কিন্তু আমরা তখন কেউ কাউকে চিনতাম না।

সাক্ষাৎকারে আমির বলেন, শাহরুখের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় হয় ১৯৯২ সালে। তখন শাহরুখ সবেমাত্র জুহি চাওলার সঙ্গে ‘রাজু বান গয়া জেন্টলম্যান’ সিনেমার শুটিং শুরু করেছে।

সে সময় আমি আর জুহিও নতুন একটি সিনেমার শুটিং করছিলাম। শুটিং সেটেই তার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় হয়। তখন শাহরুখের বলিউড অভিষেক সিনেমা ‘দিওয়ানা’ মুক্তি পায়নি এবং বলিউড অভিনেতা হিসেবে তাকে কেউ চিনতো না। প্রথম পরিচয়ে তাকে (শাহুরখ খানকে) আমার বেশ মিশুকে ও হৃদয়বান বলে মনে হয়েছিলো।

মালায়লাম সিনেমার রিমেক হবে ‘সিংঘাম থ্রি’

রোহিত শেট্টি ও অজয় দেবগন বলিউডের বলিষ্ঠ জুটি। ‘সিংঘাম’ ও ‘গোলমাল’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই জুটি।
২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল এই তিন বছরে ‘সিংঘাম’র দুইটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। ২০১১ সালে ‘সিংঘাম’ এবং ২০১৪ সালে ‘সিংঘাম রিটার্নস’ সুপার হিট হয়। সিনেমায় সাহসী এক পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অজয়।
এই দুই সিনেমার ব্যাপক জনপ্রিয়তার পর ‘সিংঘাম থ্রি’ বানানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন রোহিত শেট্টি। খবর ডেকান ক্রনিকলের।
খবরে বলা হয়, মালায়লাম সিনেমা ‘অ্যাকশন হিরো বিজু’র রিমেক হবে ‘সিংঘাম থ্রি’।  ‘অ্যাকশন হিরো বিজু’ সিনেমায় অভিনয় করেন নিভিন পাওলি।
ট্রেড এনালিস্ট রমেশ বালা এক টুইট বার্তায় জানান, সম্ভবত ‘সিংঘাম থ্রি’ মালায়লাম সিনেমা ‘অ্যাকশন হিরো বিজু’র রিমেক হবে।
এ বিষয়ে রোহিত শেট্টি বলেন, দর্শকের চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে আমি সিনেমা নির্মাণ করি। সিংঘাম ও গোলমাল তারই ফল। সিংঘাম এবং সিংঘাম রিটার্নস এর ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণেই সিংঘাম থ্রি তৈরির চিন্তা নিয়েছি। যতদিন পর্যন্ত সিংঘাম এবং গোলমালের দর্শক চাহিদা থাকবে ততদিন এই সিরিজগুলো চলতেই থাকবে। দর্শক যখন চাইবে না তখন আর এই সিরিজ বানাবো না।
তিনি বলেন, সিংঘাম একটি বড় ব্রান্ড। এটি আমাদের যথেষ্ট সম্মান দিয়েছে। আমরা এর আরও সিক্যুয়াল বানাতে চাই।
প্রসঙ্গত, রোহিত-অজয় বর্তমানে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছেন। গত দিওয়ালিতে মুক্তি পেয়েছে গোলমাল সিরিজের সিনেমা ‘গোলমাল এগেইন’। এক সপ্তাহে বক্স অফিসে ১৫০ কোটি রুপি আয় করেছে।
বলিউডের মি. পারফেকশনিস্ট আমির খানকে টেক্কা দিয়েছেন অজয়। আমিরের ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ এবং অজয়ের ‘গোলমাল এগেইন’ একই সময়ে মুক্তি পায়। তবে বক্স অফিসের যুদ্ধ আমিরকে হারিয়ে দিয়েছেন অজয়।

বিখ্যাত তারকাদের মৃত্যুর আগে তোলা শেষ ছবি

‘মৃত্যু’ শব্দটির সঙ্গে মিশে আছে এক অজানা ভয়। কিন্তু যারা জেনে-বুঝে মৃত্যুকে বরণ করে নিচ্ছেন, তাদের মানসিকতার হদিস পাওয়া কী আর সোজা কথা! তবে মৃত্যুর আগ মুহূর্তে তাদের চেহারা দেখে হয়তো মনোবিজ্ঞানীরা অনেক কিছুই বের করতে পারবেন।

এমনকি সাধারণ মানুষও কারো মৃত্যুর আগের ছবি দেখামাত্র একটু চমকে উঠবেন। চমকপ্রদ কিছুই হয়তো নেই, তবুও এগুলো কিছু মানুষের মৃত্যুর আগের শেষ ছবি।

জন লেনন


বিশ্বখ্যাত ব্যান্ড বিটলসের প্রতিষ্ঠাতা জন লেননের এই ছবিটি তার জীবদ্দশার শেষ ছবি। রেকর্ডিং স্টুডিও থেকে ম্যানহাটানের অ্যাপার্টমেন্টে ফেরার সময় তোলা ছবি। তার পাশের মানুষটি মার্ক ডেভিড চ্যাপম্যান। এই মানুষটিই জনকে গুলি করেছিল।

পল ওয়াকার


ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াসের এই বিখ্যাত তারকা দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাতে গিয়েই মৃত্যুবরণ করেন। ছবির গাড়িতে চড়েই তিনি রওনা দিচ্ছিলেন। তখন তোলা ছবি।

যাওয়ার পথেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।

মাইকেল জ্যাকসন


কিং অব পপ দুচোখ বুজেছিলেন ২০০৯ সালের ২৫ জুন। অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ গ্রহণের ফলে মৃত্যু ঘটে। লস অ্যাঞ্জেলসের স্ট্যাপলস সেন্টারে ‘দিস ইজ ইট’ শোয়ের সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। ওই শো-এ মঞ্চে চর্চার সময় তোলা ছবি। এটাই শেষ ছবি।

হুইটনি হিউস্টোন


বেভার্লি হিল্টনে গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের রিহার্সেল পার্টি থেকে থেকে ফেরার পথে আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় এভাবেই ধরা পড়েন হুইটনি হিউস্টোন। এর দুদিন পরেই ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি হুইটনির বাসার বাথটাবে পাওয়া যায় তার মৃতদেহ। পপ-সৌল সংগীত জগতের অসাধারণ জনপ্রিয় শিল্পী ছিলেন হুইটনি হিউস্টন৷ বহুমুখি প্রতিভার অধিকারী এই সংগীত তারকা পেয়েছিলেন আকাশচুম্বী সাফল্য ও স্বীকৃতি৷

৮০ এবং ৯০’এর দশকে হুইটনি হিউস্টন ছিলেন বিশ্বের সবচাইতে জনপ্রিয় নারী সংগীত শিল্পী। ১৯৮৫ সালে তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘হুইটনি হিউস্টন’ তাঁকে এনে দেয় বিশ্বব্যাপী খ্যাতি এবং তাঁর উঁচু সুরেলা কণ্ঠে ‘ব্যালেড’ আঙ্গিকের গান জয় করে নেয় লক্ষ মানুষের হৃদয়।

শাহরুখ-গৌরীর প্রেমের শুরুটা যেমন ছিল

সালটা ১৯৮৪। এক অনুষ্ঠানে প্রথম দেখা শাহরুখ আর গৌরীর।

এক বন্ধুর মাধ্যমে গৌরীর কাছে প্রস্তাব পাঠালেন শাহরুখ, তোমার সঙ্গে একটু নাচব!” অভিনেতা অনুপম খের সঞ্চালিত একটি অনুষ্ঠানে শাহরুখ জানিয়েছিলেন, গৌরী প্রথম নারী, যার সঙ্গে আমি নাচের প্রস্তাব দিয়েছিলাম, ফোন নম্বর চেয়েছিলাম। হতাশ করেছিলেন গৌরী। শাহরুখের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।

শাহরুখের সঙ্গে মিশতেও চাননি। তাই সেদিন বানিয়ে বানিয়ে বলেছিলেন, তিনি তাঁর প্রেমিকের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু পরে জানা যায়, গৌরীর অপেক্ষাটি ভাইয়ের জন্য। জানতে পেরে শাহরুখ নাকি গৌরীকে জানান, তিনিও তাঁর ভাই হতে চান। এতে কাজ হয়। এগিয়ে আসেন গৌরী।

শুরু হয় দুজনের প্রেম। এভাবে কেটে যায় পাঁচটি বছর। একটু বেশিই ভালোবাসতেন শাহরুখ। এটা করা যাবে না, ওখানে যাওয়া যাবে না, ওর সঙ্গে কিসের এত কথা এরকম চোখরাঙানি চলত নিয়মিত। একদিন রেগে যান গৌরী। কোনও কিছু না বলে বন্ধুদের সঙ্গে মুম্বাই চলে যান। উপায় না দেখে শেষমেশ গৌরীর মাকে সব খুলে বলেন। প্রথমে একটু রেগে গেলেও একটা সময় মন গলে। শাহরুখের হাতে কিছু টাকা দিয়ে বলেন, খুঁজে নিয়ে আসতে গৌরীকে।

এত বড় শহরে গৌরীকে খুঁজে বেড়ানো সহজ ছিল না। হঠাৎ মাথায় এল, গৌরী সমুদ্র ভালোবাসে। সমুদ্রের পাড়ে কোথাও পাওয়া যায় কি না। যেই ভাবনা, সেই কাজ। এক বিকেলে সমুদ্রসৈকতে হাঁটতে হাঁটতে পাওয়া গেল গৌরীকে। গৌরীকে দেখে শাহরুখের কান্নায় মন গলে গৌরীর।

তবে মুসলমান শাহরুখের সঙ্গে বিয়ে হওয়া সহজ ছিল না ব্রাহ্মণ পরিবারের কন্যা গৌরীর। শোনা যায়, গৌরীর বাবা-মার মন জয় করতে হিন্দু নাম ব্যবহার করতেন শাহরুখ। ততদিনে শাহরুখের বলিউডে কাজ শুরু হয়ে গেছে। ১৯৯১ সালের অক্টোবরে বিয়ে করেন তাঁরা।

দক্ষিণী নায়িকাদের ‘মোটা’ বললেন হিনা, জবাব দিলেন হংসিকা

হায়েস্ট পেইড টেলি-অভিনেত্রীদের অন্যতম হিনা ‘বিগ বস’-এ গিয়ে নানা বিতর্কিত কথা বলেছেন। কিন্তু এই কথাটি বলার পরে মুতোড় জবাব এল দক্ষিণেরই নায়িকার কাছ থেকে।
হিনা খান ও হংসিকা মোতওয়ানি।

হিনা খান-এর অভিনয়দক্ষতা এবং সৌন্দর্য নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। মাত্র একটি ধারাবাহিকই তাঁকে রাতারাতি বিখ্যাত করেছে। এক ঝটকায় তাঁকে নিয়ে এসেছে হিন্দি টেলিজগতের প্রথম সারিতে। ‘বিগ বস সিজন ১১’-এ এসে বেশ কিছু বিতর্কিত কথাবার্তা বলেছেন হিনা। তার মধ্যে দক্ষিণী সিনেমা নিয়ে একাধিক মন্তব্য রয়েছে।

তিনি তাঁর সহ-প্রতিযোগীদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে বলেন যে দক্ষিণ থেকে দু’টি ছবির অফার তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন কারণ তাঁকে ওজন বাড়াতে বলা হয়েছিল। মুম্বইয়ের একটি গসিপ ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর পরেই হিনা দক্ষিণের নায়িকাদের চেহারা নিয়ে নানা কথা বলতে থাকেন। সোজাসুজি তাঁদের ‘মোটা’ বলেন হিনা।

হিনার এই মন্তব্যের ভিডিওটি টুইটারে আপলোড করে সমালোচনা করেন এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের লেখিকা। বিষয়টি চোখে পড়ে দক্ষিণী নায়িকা হংসিকা মোতওয়ানির। সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। একের পর এক টুইট করে তীব্র বিরোধিতা করেন হিনার এই মন্তব্যের। তিনি বলেন, ‘‘হিনা কি জানেন না যে বলিউডের বহু অভিনেতা-অভিনেত্রীই দক্ষিণ ভারতের ছবিতে অভিনয় করেন… দক্ষিণ ভারতের অভিনেত্রী হিসেবে আমি আমার ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত!’’

হিন্দি ছবি ‘লিঙ্গ বৈষম্য ও যৌনতা নির্ভর’ ৪ হাজার ছবির গবেষণার ফল

বলিউড চলচ্চিত্র যৌনতা নির্ভর- এমন অভিযোগের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে এর লিঙ্গ বৈষম্যমূলক বৈশিষ্ট্যও। অন্তত একটি গবেষণার তথ্যে বলা যায় এ কথা প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে।

আইবিএমের করা ৪ হাজার হিন্দি চলচ্চিত্রের ওপর গবেষণা এবং দিল্লি ভিত্তিক দুটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণায় উল্লেখ করা হয়- বিভিন্নভাবে যৌনতা আর লিঙ্গ বৈষম্য প্রদর্শিত হয়, যেমন বিভিন্ন পেশা, পাঠ্যক্রমে জড়িত কর্ম, ছবির বর্ণনা, চরিত্রের বৈশিষ্ট্যেও লিঙ্গ বৈষম্য ফুটে ওঠে। এভাবেই বিভিন্ন রসদে হিন্দি ছবির ভেতর যৌনতার সন্ধান মেলে। গবেষণায় কঙ্গনা রানাউতের একটি গানের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। যেটা এই গবেষণাকেই সমর্থন করছে।

১৯৭০ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া ৪ হাজার হিন্দি ছবির ওপর গবেষণা চালানো হয়। উইকিপিডিয়ার আইবিএম ডাটাসেটের গবেষণায় প্রতিটি চলচ্চিত্রের খুঁটিনাটি বিষয় যেমন- ছবির টাইটেল, কুশীলবদের তথ্য, সাউন্ডট্র্যাক ও পোস্টারের ওপর গবেষণা ছাড়াও ২০০৮ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির ট্রেলারও বিশ্লেষণ করে দেখেছেন গবেষকেরা।

চলচ্চিত্রে যদিও নারী চরিত্রগুলো ছোট হয়, তবুও দর্শকদের আকৃষ্ট করার জন্য চলচ্চিত্র নির্মাতারা তাদের অভিনব ভাবে উপস্থাপন করেন। এমনটাই দাবি গবেষকদের।

যৌনতা প্রদর্শনের পাশপাশি লিঙ্গ বৈষম্যের বিষয়টি প্রচ্ছন্নভাবে চলে আসছে- এমনটাই দাবি গবেষকদের।

গবেষকরা বাণিজ্যিক হিন্দি চলচ্চিত্রের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন। তারা বলছেন,  কখনো নারী চরিত্রকে ‘আদর্শ নারী’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে- যারা বিনয়ী, আত্ম-উৎসর্গীকৃত, পবিত্র এবং নিয়ন্ত্রিত। একইসাথে ‘খারাপ নারী’ যৌন আক্রমনাত্মক, আত্মত্যাগী নয় ও পশ্চিমা দুনিয়ার সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত এমন চরিত্রেও দেখানো হচ্ছে মেয়েদের।

আইবিএম এর নিশথা মাদান বলেন, অভিনেত্রীদের নিইয়ে প্রচারকার্য বেশি চালানো হয়, কিন্তু যখন প্রকৃত গল্প আসে তখন দেখা যায় আসলে অভিনেত্রীরা থাকেন সাইডলাইনে।

তবে কিছু ক্ষেত্রে নারীদের চরিত্রায়ণে উন্নতিরও দেখা মেলে। ১৯৭০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে বলিউডে বেশকিছু নারীকেন্দ্রিক চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে। মেয়েদেরকে চরিত্র নিয়ে লেখা কাহিনি প্রধান চরিত্রের রুপ পেয়েছে। সত্তরের দশকে যা ৭ ভাগ ছিল এই সময়ে এসে তা ১১.৯ শতাংশে পৌঁছেছে।