বলিউড চলচ্চিত্র যৌনতা নির্ভর- এমন অভিযোগের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে এর লিঙ্গ বৈষম্যমূলক বৈশিষ্ট্যও। অন্তত একটি গবেষণার তথ্যে বলা যায় এ কথা প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে।
আইবিএমের করা ৪ হাজার হিন্দি চলচ্চিত্রের ওপর গবেষণা এবং দিল্লি ভিত্তিক দুটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়- বিভিন্নভাবে যৌনতা আর লিঙ্গ বৈষম্য প্রদর্শিত হয়, যেমন বিভিন্ন পেশা, পাঠ্যক্রমে জড়িত কর্ম, ছবির বর্ণনা, চরিত্রের বৈশিষ্ট্যেও লিঙ্গ বৈষম্য ফুটে ওঠে। এভাবেই বিভিন্ন রসদে হিন্দি ছবির ভেতর যৌনতার সন্ধান মেলে। গবেষণায় কঙ্গনা রানাউতের একটি গানের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। যেটা এই গবেষণাকেই সমর্থন করছে।
১৯৭০ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া ৪ হাজার হিন্দি ছবির ওপর গবেষণা চালানো হয়। উইকিপিডিয়ার আইবিএম ডাটাসেটের গবেষণায় প্রতিটি চলচ্চিত্রের খুঁটিনাটি বিষয় যেমন- ছবির টাইটেল, কুশীলবদের তথ্য, সাউন্ডট্র্যাক ও পোস্টারের ওপর গবেষণা ছাড়াও ২০০৮ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির ট্রেলারও বিশ্লেষণ করে দেখেছেন গবেষকেরা।
চলচ্চিত্রে যদিও নারী চরিত্রগুলো ছোট হয়, তবুও দর্শকদের আকৃষ্ট করার জন্য চলচ্চিত্র নির্মাতারা তাদের অভিনব ভাবে উপস্থাপন করেন। এমনটাই দাবি গবেষকদের।
যৌনতা প্রদর্শনের পাশপাশি লিঙ্গ বৈষম্যের বিষয়টি প্রচ্ছন্নভাবে চলে আসছে- এমনটাই দাবি গবেষকদের।
গবেষকরা বাণিজ্যিক হিন্দি চলচ্চিত্রের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন। তারা বলছেন, কখনো নারী চরিত্রকে ‘আদর্শ নারী’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে- যারা বিনয়ী, আত্ম-উৎসর্গীকৃত, পবিত্র এবং নিয়ন্ত্রিত। একইসাথে ‘খারাপ নারী’ যৌন আক্রমনাত্মক, আত্মত্যাগী নয় ও পশ্চিমা দুনিয়ার সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত এমন চরিত্রেও দেখানো হচ্ছে মেয়েদের।
আইবিএম এর নিশথা মাদান বলেন, অভিনেত্রীদের নিইয়ে প্রচারকার্য বেশি চালানো হয়, কিন্তু যখন প্রকৃত গল্প আসে তখন দেখা যায় আসলে অভিনেত্রীরা থাকেন সাইডলাইনে।
তবে কিছু ক্ষেত্রে নারীদের চরিত্রায়ণে উন্নতিরও দেখা মেলে। ১৯৭০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে বলিউডে বেশকিছু নারীকেন্দ্রিক চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে। মেয়েদেরকে চরিত্র নিয়ে লেখা কাহিনি প্রধান চরিত্রের রুপ পেয়েছে। সত্তরের দশকে যা ৭ ভাগ ছিল এই সময়ে এসে তা ১১.৯ শতাংশে পৌঁছেছে।